ডালিম একটি সুস্বাদু ফল, এবং ফল হিসেবে এর তুলনা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের উপকারিতা অবিশ্বাস্য। দেখতে যেমন চমৎকার, খেতেও দারুণ। ডালিমের দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকেই এটি এড়িয়ে চলেন। তবে ডালিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে, এবং পুষ্টিবিদরা বলছেন, এটি অন্তত খাবারের তালিকায় রাখা উচিত।
ডালিম স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। ডালিম ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি ফ্রুট সালাদ, স্মুদি, জুস ও কাস্টার্ডেও ব্যবহার করা যায়।
চলুন, ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি:
১. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা
ডালিম সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীর থেকে জীবাণু অপসারণ করে। ডালিমের অ্যালার্জিক এসিড ত্বকে টিউমারের সম্ভাবনা কমায়।
২.ভিটামিন 'সি' এর ভালো উৎস
প্রতিদিন একটি ডালিম খেলে ১৭% ভিটামিন 'সি' শরীরে প্রবেশ করে। ভিটামিন 'সি' শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে রক্ষা দেয়।
৩. ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখে
ডালিমের রস ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বকের কোষকে দীর্ঘায়ু করে। এটি কোলাজেন ও অ্যালাস্টিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বককে সজীব ও তরুণ রাখে।
৪. ত্বকের প্রদাহ কমায*
ডালিমে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ত্বকে আরাম দেয়। এতে রয়েছে ট্রিকোসেনিক এসিড ও ওমেগা-৫ ফ্যাটি এসিড, যা শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধক
ডালিমের রস ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না, বিশেষ করে মূত্রনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রা
যারা ডায়াবেটিসের রোগী, তারা অনায়েসে ডালিম খেতে পারেন। এতে রয়েছে ডায়েটরি ফাইবার, যা রক্তে শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৭. হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে
ডালিম রক্তের কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমিয়ে আনে এবং রক্তে HDL কোলেস্ট্রলের পরিমাণ বাড়ায়, যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।
৮. ব্রণ ও ব্রণের দাগ
ডালিম হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে, ফলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় না। ডালিমের ভিটামিন 'সি' ত্বকের তেল গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৯. হাইড্রেশন
ডালিম ত্বককে হাইড্রেট করে এবং এটি গ্রিন-টির থেকেও ভালো।
১০. আলজেইমার্স
আলজেইমার্স রোগীদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী উপকারী খাবার। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
১১. ওজন কমায
প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি প্রবেশ করে এবং এর উপাদানগুলো শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না।
১২. পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে
ডালিম বিপাক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে এবং ডায়রিয়া ও বমির উপদ্রপ কমায়। এটি পেটের যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম।
১৩. রক্তনালী সুরক্ষিত রাখে
ডালিম রক্তনালী সুরক্ষিত রাখে এবং প্লাক জমতে দেয় না, ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।
১৪. চুল পড়া রোধ করে