জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা পিতৃহীনতার বেদনায় দিন কাটাচ্ছেন। জন্মের আগেই পিতৃহারা হওয়ায় বাবার আদর কেমন হয়, তা অনুভব করার সুযোগ পাননি বলে জানান তিনি। বাবা দিবসে বা যখন অন্য ফুটবলারের বাবা-মা ক্যাম্পে আসেন, সেই সময়গুলো তার জন্য ভীষণ কঠিন হয়ে ওঠে।
২০২২ সালে নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হওয়ার পর, এ বছরও ২০২৪ সালের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে একই সম্মান পেয়েছেন রূপনা। শৈশবে আর্থিক সংকটের সময় ওষুধ কেনার টাকা না থাকায় তার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছিল। রূপনা বলেন, “বাঁচার অবস্থা ছিল না কারণ ওষুধ কেনার টাকা নেই। কেউ এগিয়েও আসেনি। সেখান থেকে বেঁচে এসে আজ আমি উপমহাদেশের সেরা গোলকিপার হয়েছি।”
রূপনা জানান, প্রথমে স্ট্রাইকার হিসেবে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করলেও একদিন গোলকিপারের প্রয়োজন হলে তিন কাঠির নিচে দাঁড়িয়ে পড়েন। বর্তমান জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছালেও শৈশবের দুঃখ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।