বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বাজারে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ক্রমাগত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য। যদিও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক হ্রাস করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ও বিভিন্ন জেলার টাস্কফোর্স বাজার মনিটর করছে, তবুও এর সুনির্দিষ্ট সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা। আলুর দাম বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ৭০ টাকার নিচে এটি বাজারে মিলছে না। আমদানির পরও আলু দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ প্রায় ১৪ টাকা এবং উৎপাদক পর্যায়ে বিক্রি হতে পারে ১৯ টাকার মতো। সব খরচ হিসেব করে বাজারে আলুর যৌক্তিক দাম হওয়া উচিত ৪৬ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে কেজিতে ২৪ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্যমতে, বর্তমানে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি। ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া মনে করেন, অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা যথাযথভাবে না থাকায় এই সমস্যা আরও তীব্রতর হয়েছে। জেলার ডিসি ও এসপি থাকলেও কোল্ড স্টোরেজে তেমন অভিযান নেই। মুন্সীগঞ্জে মজুদ থাকা বিপুল পরিমাণ আলু সরবরাহ না করায় দাম বাড়ছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এনবিআর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করেছে এবং ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নিয়েছে। তবে টনে টনে আমদানি হওয়া আলুও বাজারে ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা জানায়, হিমাগারে থাকা আলুর মজুদ কমে আসায় ও অক্টোবরের অতিবৃষ্টিতে আলুর বীজ রোপণে বিলম্ব হওয়ায় নতুন আলুর সরবরাহে দেরি হবে। ফলে বাজারে দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটের পাশাপাশি এসব কারণও দায়ী।