যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর ভয়াবহ দাবানলে ছয় দিন ধরে পুড়ছে। দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪-এ। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে ঝোড়ো বাতাসের গতি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগুনকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
দাবানলে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার দাবানল শুরু হওয়ার পর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।
প্যালিসেইডস দাবানলের বিস্তার থামাতে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী ব্রেন্টউড ও সান ফার্নান্দো উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কাজ করছে। তবে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা আগামীকাল মঙ্গলবার বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্টনি মারোনি জানিয়েছেন, তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন সরঞ্জাম ও কর্মী পেয়ে প্রস্তুত আছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শেরিফ রবার্ট লুনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
এর মধ্যেই দাবানলকবলিত এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণকর্মীর পোশাক পরে লুটপাটে অংশ নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা জোরদারে কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের অনুরোধ করা হয়েছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তাদের অযোগ্যতার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটা আমাদের দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিপর্যয়, আর তারা এখনো আগুন নেভাতে পারছে না।”
তবে শুরু থেকেই অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মেক্সিকো থেকে নতুন কর্মী যুক্ত হওয়ায় কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।