গত ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এরপর, দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। এবার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন একই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইন্ডিয়া টুডির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় অমিত শাহ হেমন্ত সোরেনকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হেমন্ত সোরেন অমিত শাহকে শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন।
অমিত শাহ হেমন্ত সোরেনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, "আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে আপনার ভোটব্যাংক তৈরি করেছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই যে, তুষ্টির রাজনীতি শেষ করে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করবে।"
অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন তুলেন, "মোদি সরকার কীভাবে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে? কেন শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার এখানে নামতে পেল? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া আছে কিনা?"
সোরেন দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে রাজ্যের মানুষরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কারণে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, "সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা কি কেন্দ্র সরকারের দায়িত্ব নয়? এতে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অনুপ্রবেশকারীরা আপনার (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করছে। আপনি কেন সেখানে অনুপ্রবেশ নজরদারি করছেন না?"
উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন দুইটি ধাপে ১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা করা হবে ২৩ নভেম্বর। বিজেপিবিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র অধীনে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল জেএমএম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।