রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ১৮ বছর বয়সী যুবক আরমান হোসেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ভাটারা থানা পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। গত রবিবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকালে পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এসআই আরও জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, তবে তার মা দীর্ঘদিন অসুস্থ এবং পরিবারটি আর্থিকভাবে সমস্যায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আরমানের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ রোকন জানান, রবিবার বিকালে আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে যমুনা ফিউচার পার্কে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গিয়েছিলেন। স্বাধীন আরমানকে সাথে নিয়ে সেখানে যান। স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ভেতরে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন করে জানান, "আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে।" এই বলেই ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে জানা যায়, সে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে।
রোকন বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানা নেই তবে আরমান ছিল অস্থির মেজাজের। মোবাইল ফোনে তার আসক্তি ছিল এবং প্রতি বছর নতুন মোবাইলের জন্য তার দাবি থাকত, কিন্তু পরিবারটি সচ্ছল ছিল না।
আরমান হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিল এবং রামপুরা হাজীপাড়ায় পরিবারসহ বাস করত। সে নতুন বাজারে মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করতো, তবে সম্প্রতি বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। আরমান চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল। তার মা শামছুজ্জামান বেশ অসুস্থ ছিলেন এবং বেশ কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলেন, এখন বাসায় রয়েছেন।