বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক মাত্র ৬৪ বছর বয়সে কোলন ক্যান্সারে মারা যান। কোলন ক্যান্সার একটি প্রাণঘাতী রোগ, যা সময়মতো শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা সম্ভব হলেও এর খরচ অনেক বেশি। তাই প্রতিরোধই কোলন ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকার উত্তম উপায় হতে পারে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০টি সহজ টিপস জেনে নিন:
আঁশযুক্ত খাবার খান
শাকসবজি, ফলমূল ও শস্যে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে
।
প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন
সসেজ, হটডগ, স্যান্ডউইচে ব্যবহৃত প্রক্রিয়াজাত মাংস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই ধরনের খাবার বাদ দিন।
লাল মাংস কম খান
গরু ও খাসির মাংসে অতিরিক্ত প্রোটিন থাকে, যা কোলন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে এক-দুই দিন খেলে ঝুঁকি কমবে।
অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি এড়ান
উচ্চ চর্বিযুক্ত ও মিষ্টি খাবার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এ ধরনের খাবার কম খেতে হবে।
ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং কোলন সুস্থ রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
স্থূলতা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে সঠিক ওজন বজায় রাখুন।
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
এই অভ্যাসগুলো কেবল কোলন নয়, আরও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ থাকতে এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।
প্রতিদিন পানি পান করুন
বেশি পানি পান করলে হজম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং কোলন সুস্থ থাকে।
নিয়মিত চেকআপ করুন
৫০ বছর বা তার বেশি বয়স হলে নিয়মিত কোলনোস্কোপি বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত, এতে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ আগেই ধরা পড়বে।
মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ কোলনের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই নিয়মিত যোগব্যায়াম বা রিল্যাক্সেশন অভ্যাসে চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।