সম্প্রতি অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন সারেগামাপা-খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। তিনি জানান, মাদকের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের দাবির পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সংগীতপ্রেমীরা আশাবাদী যে, নোবেলের সংগীতে প্রত্যাবর্তন মানে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে 'পূর্ণাঙ্গ গায়ক' হিসেবে ফিরে আসা।
এদিকে, তরুণ এই গায়ক যখন নতুনভাবে সংগীতে নিয়োজিত হওয়ার কথা বলছেন, ঠিক তখনই তার সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ ভিন্ন দাবি করেন। তিনি জানান, নোবেল ফের মাদক গ্রহণ শুরু করেছেন এবং তার সঙ্গী হিসেবে ৫-৭ জন বান্ধবী রয়েছেন।
নোবেলের সাবেক স্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চলছে, এসময় চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন গায়ক নোবেল। তিনি জানান, সালসাবিলের মন্তব্য নিয়ে তিনি বিশেষ কিছু বলতে চান না।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর সালসাবিল ফেসবুকে লেখেন―
‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খুব দ্রুত বিচার না করে একটু সময় দিন, সত্যটা সবার সামনে চলে আসবে। যে যেটাতে অভ্যস্ত, সেটাই করতে থাকবে। ক্যামেরার সামনের নাটকটি ক্ষণস্থায়ী। সত্য বের হয়ে আসা শুধু ক্ষণিকের অপেক্ষা।’
সালসাবিলের এই স্ট্যাটাসে একজন মন্তব্য করেন। মন্তব্যের জবাবে সালসাবিল লেখেন, ‘রিহ্যাব থেকে বের হওয়ার পর একটা মানুষের খাবার কেনার টাকা নেই। মাফ না করলেও খাবার কেনার টাকা দিলাম। গানের ভয়েজ দিতে যাবে, উবারে যাওয়ার ভাড়া নেই, দিলাম। তিন মাস শতভাগ ভালো হওয়ার নাটক করল। শিগগিরই একটা শো আসছে। আবার ড্রাগ শুরু করে দিয়েছে। আর সঙ্গে তো পাঁচ-সাতটা জিএফ আছেই।’
এ ব্যাপারে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে একটি গণমাধ্যমের করা প্রশ্নে গায়ক নোবেল বলেন, ‘আসলে এ নিয়ে কী বলব আমি। তার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর হয় কোনো যোগাযোগ নেই আমার। দেখাসাক্ষাৎ নেই।’
কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্য শোনার পর কিছু বলার ওথাকে না। আমার একজন এক্স ওয়াইফ, আমাকে নিয়ে কী বলল না বলল, তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আমার। এমনকি তার এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে আমার কিছু যায়-ও আসে না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন নোবেল। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে। যার শেষ পরিণতি হয় বিবাহবিচ্ছেদ।