ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক খাসকামরা থেকে বেরিয়ে এজলাসে আসেন।
বিচারকের সামনেই আসামির কাঠগড়া। সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, শাজাহান খান, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তাঁদের প্রত্যেকের বাঁ হাতে হাতকড়া।
সকালের শুনানি শুরু হলে পুলিশের এক কর্মকর্তা ডাক দেন, ‘জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।’ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জ্যাকব ডান হাত উঁচু করে সাড়া দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, রাজধানীর রূপনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় জ্যাকব অন্যতম আসামি। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
জ্যাকবের আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। এরপর নিজে কথা বলে জ্যাকব বলেন, তিনি কখনো ঢাকার রূপনগরে যাননি এবং এই মামলা ভিত্তিহীন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরবর্তী শুনানিতে আনিসুলের বিষয়ে আদালত জানে, উত্তরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফজলুল করিম নামের এক যুবক হত্যায় তিনি আসামি। আনিসুলের আইনজীবী বিরোধিতা করলেও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আনিসুল বিমর্ষ মুখে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এরপর অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলতে থাকে। দীপু মনি ও সালমান এফ রহমানের মধ্যে কিছুক্ষণ কথোপকথন হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা শুনানির শেষে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর পুলিশ তাঁদের হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়। আদালত প্রাঙ্গণ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বজায় ছিল।