বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার প্রতি রাজনৈতিক হানাহানি ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায় সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "নতুন অধ্যায় এমন হতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন ও পরিবার ধ্বংস হবে না।"
রবিবার নিজের ভেরিফাইড এক্স হ্যান্ডেল এবং ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পৃথক পোস্টে একই বিষয়টি জোর দিয়ে বলেন, "আসুন, রাজনৈতিক হানাহানি ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারো জীবন ও পরিবার ধ্বংস হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "সত্যের সৌন্দর্য হলো যে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী এবং মানুষকে আশ্বস্ত করা যে, ন্যায় বিচার এবং সত্যতা অবশেষে জয়ী হবে।"
তারেক রহমান গণতন্ত্রের চেতনা রক্ষায় তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যা বিশ্বাস, আস্থা, বৈচিত্র্য, আদর্শ এবং বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, "এই অভিযাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও আইনভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
তারেক রহমান এই অনুভূতিগুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন, কিছু ঘণ্টা পরেই হাইকোর্ট ডিভিশন তাকে এবং তার মামলার অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়ার রায় দেয়।
তারেক রহমান এবং অন্য আসামিরা খুন ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এই রায়টি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার সাথে সম্পর্কিত ছিল।