চার রাজিবপুর উপজেলার এক স্থানীয় সাংবাদিক গত রাতে একটি স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, এমন দাবি করেছেন সেই সাংবাদিক।
সাংবাদিক সুজন মাহমুদ দৈনিক খোলা কাগজের রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তিনি চার রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, জানান ডা. হাসিবুর রহমান, রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার।
সুজন বলেন, হামলাকারীরা সবাই চার রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেসুর রহমানের অনুসারী।
তিনি বলেন, “আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে রাজিবপুর বাজারের কম্পিউটার গলিতে সংবাদ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতা, এর মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সাব্বির হোসেন, সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফী আলম, উপজেলা শ্রমিক দলের সংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, তাদের নিয়ে সেখানে এসে আমাকে আক্রমণ করে। তারা আমাকে নির্দয়ভাবে পেটায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার সহকর্মীরা আমাকে বাঁচিয়ে চার রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়।”
সুজন জানান, তিনি ৩ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন, যাতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মোখলেসুর রহমান, যিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন, বলেছেন যে তাকে এই ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, যদি তার অনুসারীরা কোনো সাংবাদিকের ক্ষতি করে থাকে, তবে তিনি ওই এলাকাতে ফিরে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
চার রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তসলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি সাংবাদিকের ওপর আক্রমণের খবর শুনেছেন।