সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড আকারে দাবি প্রচার করা হয়েছে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমকে বলা হয়েছে, “ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানালে কেউ দালালি করার সুযোগ পেত না।” তবে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানালে কেউ দালালি করার সুযোগ পেত না” শীর্ষক কোনো মন্তব্য সারজিস আলম করেননি। প্রকৃতপক্ষে, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দাবির সাথে সম্পর্কিত পোস্টগুলোতে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামের উল্লেখও ছিল না, যা থেকে বোঝা যায় যে এটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়নি।
অন্যদিকে, সারজিস আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত তথ্য ও মতামত প্রকাশ করেন। তবে, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করেও এই দাবির সপক্ষে কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
নতুন উপদেষ্টা নিয়ে সারজিস আলম গত ১৬ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়োগ দেওয়ার সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ফারুকী তার পুরো সময় ক্ষমতার কাছে থাকতে যেভাবে তোষামদি করেছেন, সেইভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন।” তবে, তিনি ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এছাড়া, ২৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে সারজিস আলম অন্তর্বর্তী সরকারের তিন তরুণ উপদেষ্টা—নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, ও মাহফুজ আলম—কে বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বলেছেন, কিন্তু সেখানে ইলিয়াস হোসেনের কোনো উল্লেখ ছিল না।