ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি), যা ফ্লু-জাতীয় উপসর্গ সৃষ্টি করে, এর বিস্তার রোধে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
রবিবার প্রকাশিত এবং কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত এ নির্দেশিকায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া অথবা ২০ সেকেন্ডের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় নাক এবং মুখ আর্ম বা টিস্যু দিয়ে ঢাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যবহৃত টিস্যু তৎক্ষণাৎ আবদ্ধ বক্সে ফেলে হাত ধোয়া উচিত। ডিজিএইচএস আরও বলেছে যে, সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ না করা, তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং অপরিষ্কার হাতে মুখে স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকার জন্য উত্সাহিত করা হয়েছে। ডিজিএইচএস জানিয়েছে যে, এইচএমপিভি সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে কমে যাওয়া হালকা শ্বাসতন্ত্রের উপসর্গ সৃষ্টি করে, এবং জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো এবং প্রবেশদ্বারগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি শক্তিশালী করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএমপিভি আক্রান্তের সংখ্যা চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ বছরের নিচে শিশু, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, অ্যাস্থমা বা সিওপিডি রোগী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।