বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি গতকাল বিকেল ৪টার দিকে শক্তি লাভ করে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এর কেন্দ্র প্রায় ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ওপরে অবস্থান করছিল। এর কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বর্তমানে লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই পথে চলতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে এবং এটি পূর্বের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে। উপকূলে উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে তারা জরুরি অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে।