চীনের বিজ্ঞানীরা তিন লক্ষ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিষ্কারের দাবি করেছেন
চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাঁরা তিন লক্ষ বছরের পুরনো মানব ফসিল আবিষ্কার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ফসিলগুলো প্রাচীন এক মানব প্রজাতির, যারা বিবর্তনের মাধ্যমে পরবর্তীতে হোমো সেপিয়েন্সে রূপান্তরিত হয়। আধুনিক মানুষেরা হোমো সেপিয়েন্স থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এসব বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে।
বিজ্ঞানীরা পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের ডংঝি কাউন্টির হুয়ালংডং সাইট থেকে মানব ফসিলের পাশাপাশি প্রাণীদের হাড় এবং বিভিন্ন পাথরের তৈরি যন্ত্রপাতি উন্মোচন করেছেন।
চীনা গবেষকরা এই আবিষ্কারটি শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ডংঝিতে অনুষ্ঠিত একটি একাডেমিক সম্মেলনে তুলে ধরেন। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিজ্ঞানী অংশ নেন। হুয়ালংডং সাইটটি ১৯৮৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এবং ২০১৩ সালে এর খনন কাজ শুরু হয়। এই সাইট থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ মাথার খুলিসহ প্রায় ২০টি মানব ফসিল, ৪০০-রও বেশি পাথরের তৈরি যন্ত্র, হাড়ের তৈরি সরঞ্জাম এবং ৮০টির বেশি মেরুদণ্ডী প্রাণীর ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে।
এই বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, বিজ্ঞানীদের একটি দল ৪০ বর্গমিটার এলাকা নতুনভাবে খনন করেন। তাঁরা আরও ১১টি মানব ফসিল, পায়ের হাড়ের একটি অংশ, উরুর একটি অংশ, একটি ভাঙা হাড় এবং আটটি মাথার খুলির অংশ আবিষ্কার করেন।
চীনের একাডেমি অব সায়েন্সের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী এবং খননকারী দলের প্রধান উ শিউজি বলেন, এই আবিষ্কারগুলোর আলোকে ধারণা করা যায় যে, হুয়ালংডং সাইটটি একসময় ২০ জনের বেশি মানুষের একটি বড় পরিবারের বসবাসের স্থান ছিল। সেখানে তাঁদের একটি ডাইনিং হল ছিল, যেখানে তাঁরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতেন। রাতের বেলা বন্য প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁরা একটি গর্তের মতো জায়গায় থাকতেন, যা তাঁদের শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হত। তবে এখন এটি ধ্বংসপ্রায়।