ঘরের মাঠে এমন সুযোগ পান না। নিউজিল্যান্ডও পেসারদের দেশ, ড্যানিয়েল ভেট্টরি ছাড়া আর কারো নাম মনে পড়ে না। পূর্বসূরির সাথে মিচেল স্যান্টনারের বেশ মেলে - বাঁ হাত আর চশমায়। ব্যাটও চালাতে জানেন। তবে টেস্টে তেমন খেলা হয়নি।
নায়ক হতে খুব সময় লাগে না। মিচেল স্যান্টনার নিলেন তিনদিন। যিনি এর আগে তিন উইকেটের বেশি পাননি ইনিংসে, সেই মানুষটাই দু' ইনিংসে পাঁচ উইকেটের চৌকাঠ মারালেন দু'বার।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের চোখরাংগানি ছিল। যশস্বী জয়সয়ালের ব্যাট ম্যাচ থেকে ছিটকে দিচ্ছিল। লড়াইটা ছিল নিজের সাথেও। সাইড স্ট্রেইন দম ফেলতে দিচ্ছিল না। বল হাতে একাই লড়ে গেলেন ক্রিকেটপাগল এক জাতির সাথে। ইতিহাস, প্রতিপক্ষ, মহাতারকা ব্যাটসম্যান কিংবা ব্যাথা কোনোটাই দাঁড়াতে পারলো না সামনে। স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে কিউইদের ভারত বধ।
গড়পড়তা নিউজিল্যান্ডার যেমন হয়। চেহারায় আবেগ ছুঁয়ে যায় কম, নিলির্প্ততা লেপ্টে থাকে। যন্ত্রের চমৎকারিত্ব নিয়েও যে ম্যাচ জেতা যায়, মিচেল জোসেফ স্যান্টনার তার উদাহরণ হয়েই থাকবেন।
একা লড়াইয়েও জেতা যায় কোটির সাথে। নিজের সাথে। ইতিহাসের সাথে।