ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাকিবের বাবার নেতৃত্বে মাগুরায় ২ হত্যাকাণ্ড
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের বিতর্কিত নির্বাচনের আগ থেকেই তৎকালীন এমপি সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক কার্যক্রম তার অনুপস্থিতিতে তার বাবা তদারকি করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বাংলা আউটলুককে জানান, তিনি সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা কুটিলকে দেখেছেন বেলা ১১টার কিছু আগে বিশাল বহর নিয়ে মাগুরা সদর থানার সামনে উপস্থিত হতে। এ সময় সাংবাদিকরা দূর থেকে অস্ত্রধারীদের ছবি তুলতে গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
বাংলা আউটলুককে তিনি সে সময় ধারণকৃত একটি ভিডিও সরবরাহ করেছেন। ভিডিওটির মেটা ডাটা অনুযায়ী দেখা যায়, ভিডিওটি করা হয়েছে ৪ আগস্ট বেলা ১১টার সময়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, সাকিবের বাবা এবং সাকিবপন্থি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় থানার পাশে একটি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে সেখান থেকে তারা ঢাকা রোডের দিকে যান।
বাংলা আউটলুকের অনুসন্ধানে দেখা যায়,কিছুটা দ্রুত হেঁটে গেলে মাগুরা সদর থানার সামনে থেকে ঢাকা রোড সংলগ্ন গুলির ঘটনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে ৮ মিনিট সময় লাগে। আর এর কিছু সময় পরই গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা রাব্বি। অন্তত তিন জন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, রাব্বীকে ১১:১৫ মিনিটে গুলি করা হয়।
সেদিন সকালে সাকিবের বাবার সঙ্গে ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হাসান তুহিন। তুহিনের অন্যতম ‘শুটার’ ছিল ছাত্রলীগ কর্মী শিশির অধিকারী। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শিশির অধিকারী ছাড়াও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা বিশেষত হামিদুল ইসলামও সেদিন গুলি চালায়।
মাগুরা সদরে দুই হত্যাকাণ্ড এবং প্রায় তিন ডজনের বেশি ছাত্র জনতা আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাকিব বা তার বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আছেন সাকিবের আত্মীয়-স্বজনরা। জ্যেষ্ঠ এই নেতারা সাকিব পরিবারের বিরুদ্ধে কৌশলে মামলা করতে দেননি।